বর্তমান সময়ে গ্যাস সিলিন্ডার কম বেশি সবারই ব্যবহার করা হয়। তবে সেটা নিয়ে থাকতে হয় ভয়ানক আতঙ্কে। প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে চোখ বুলালেই দেখ যায় হাজারো অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা। বাসা বাড়িতে বেশিরভাগ অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী হলো আপনার প্রয়োজনীয় সিলিন্ডার গ্যাসের বোতলটি। কিন্তু কেন হয় এই বিস্ফোরণ? পরিত্রাণের উপায় কি? সে বিষয়ে হবে নিচের আলোচনা
সিলিন্ডার: অনেক কোম্পানি তাদের পুরনো সিলিন্ডার বছরের পর বছর ব্যবহার করছে। এতে করে সিলিন্ডার ক্ষয় হয়ে যেতে পারে এবং সেখান থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
রেগুলেটর: এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস ব্যাবহারের ক্ষেত্রে রেগুলেটর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বেশিরভাগ গ্যাস বিস্ফোরণের জন্য দায়ী হলো নিম্নমানের রেগুলেটর। দীর্ঘদিন রেগুলেটর ব্যবহারের পরও এর কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে।
হোস পাইপ: রেগুলেটর থেকে চুলা পর্যন্ত পাইপকে বলা হয় হোস পাইপ। দীর্ঘদিন ভাঁজ করে রাখা পাইপ ফেটে যেতে পারে। অনেকসময় বাসাবাড়িতে ইদুর থাকলে পাইপ কেটে ফেলতে পারে। এছাড়া অন্যন্য কারণে পাইপ থেকে গ্যাস লিক হতে পারে। যা থেকে অগ্নিকাণ্ড হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
সংযোগ : অদক্ষতার কারণে রেগুলেটর, হোস পাইপ, চুলা সংযোগের সময় ঠিকভাবে না লাগলে গ্যাস লিক হয়, যা থেকে হতে পারে বিপদ।
চুলা বন্ধ না করা: রান্নার পর চুলার নব বা সুইচ ঠিকভাবে বন্ধ না করলে অনেকসময় আগুন বন্ধ হয়ে গেলেও গ্যাস বেরোতে থাকে। জমে থাকা গ্যাস আগুনের সংপর্শে ঘটায় দূর্ঘটনা
গুরুত্ব না দেওয়া: চুলার যন্ত্রাংশ, হোস পাইপ, রেগুলেটর থেকে গ্যাস লিক হচ্ছে জেনেও অনেকে গুরুত্ব না দিয়ে ব্যবহার করতে থাকে। সামান্য অজ্ঞতার কারণে পরবর্তীতে হয় বিশাল বিপদ।
আশেপাশে ধূমপান করা: সিলিন্ডারের আসে পাশে ধূমপান করলে লিক হয়ে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
গ্যাস সিলিন্ডারের আশেপাশে ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক লাইন থাকলে সেখান থেকে উৎপন্ন হওয়া স্পার্ক থেকে আগুন লাগতে পারে।
গ্যাস সিলিন্ডারের কাছাকাছি বড়সড় আগুন জ্বালানো, সরাসরি সূর্যের আলোয় সিলিন্ডার রাখলেও চাপ বেড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়ে পারে।
সিলিন্ডার গ্যাসের আগুন থেকে বাঁচতে হলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, এতে করে দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: সিলিন্ডার, রেগুলেটর, হোস পাইপ ও চুলা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কোনো সমস্যা থাকলে অথবা গ্যাস লিক করলে সাথে সাথেই বেবস্থা নিয়ে হবে।
বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা: সিলিন্ডারের আশেপাশে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে গ্যাস লিক হলেও গ্যাসের ঘনত্ব কমে গিয়ে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিবে। প্রয়োজনে ভেন্টিলেশনে ফ্যান ব্যাবহার করতে হবে। সম্ভব হলে কিচেন সিঙ্ক ব্যবহার করতে হবে।
গ্যাস সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা: সম্পূর্ণ বন্ধ করা বলতে প্রাথমিক সুইচটি অর্থাৎ রেগুলেটরের সুইচটি বন্ধ করে রাখতে হবে। এতে করে পাইপ ও চুলায় গ্যাস লিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
স্মার্ট রেগুলেটর ব্যবহার করা
একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেগুলেটর সিলিন্ডার থেকে দূর্ঘটনা হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমিয়ে আনতে পারে। স্মার্ট রেগুলেটর পাইপে থাকা লিক সনাক্ত করতে পারে। পাইপে লিক থাকলে রেগুলেটর সয়ংক্রিয়ভাবে গ্যাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে করে বিস্ফোরণ ও গ্যাস অপচয় দুটোই রোধ করা যায়। উন্নতমানের রেগুলেটরে থাকে গ্যাস লেভেল মিটার। যা দ্বারা সিলিন্ডারে থাকা গ্যাস পরিমাপ করা যায়।
এই ধরনের উন্নত প্রযুক্তির স্মার্ট রেগুলেটর আছে হ্যালো বাজারে। বিস্তারিত দেখুন- High quality LPG Regulator
Formerly Hello Bazar Group.